Loading...
アイコン

Viral With Santanu

チャンネル登録者数 521人

74 回視聴 ・ 9いいね ・ 2019/10/22

Travel_tripod
A travellers vlog

নদীর ওপারের গ্রামের নাম ভিখনগর। কথিত আছে পাণ্ডবরা তাদের অজ্ঞাতবাসের সময় এখানে এসেছিলেন। লোককথা, একদিন যুধিষ্ঠির নদীর পাড়ে এক ব্রাহ্মণকে বসে কাঁদতে দেখেন। যুষ্ঠির তাঁকে কান্নার কারণ জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, নদীর ওই পাড়ে এক রাক্ষস আছে, নাম বক। সে প্রতিদিন একজন করে গ্রামের মানুষকে আহার হিসাবে গ্রহণ করে। আজ তাঁর পালা। যুধিষ্ঠির এই কথা শুনে রেগে যান এবং রাক্ষসকে বধ করার জন্য ভীমকে পাঠান। প্রবল যুদ্ধ হয় বকরাক্ষস ও ভীমের মধ্যে। এই যুদ্ধের ফলেই এই গনগনির ক্যানিয়নের সৃষ্টি হয়। শুধু লোককথাই নয়, ঐতিহাসিক গুরুত্বও কম নয় এই জায়গার। চুয়াড়-লায়েক বিদ্রোহের অন্যতম নায়ক অচল সিংহ তাঁর দলবল নিয়ে আস্তানা গেড়েছিলেন গনগনির গভীর শালবনে। রপ্ত করেছিলেন গেরিলা যুদ্ধকৌশল। ইংরেজদের ব্যাতিব্যস্ত করে তুলেছিলেন। ইংরেজ বাহিনী কামান দেগে জ্বালিয়ে দিয়েছিল গোটা শালবন। তবু দমানো যায়নি অচলকে। চোরাগোপ্তা আক্রমণ চালিয়ে যান তিনি। অবশ্য শেষরক্ষা করতে পারেননি। বগড়ির শেষ রাজা ছত্র সিংহ ধরিয়ে দেন অচলদের। এই গনগনির মাঠেই নাকি অচল ও তাঁর সঙ্গীদের ফাঁসি দিয়েছিল ইংরেজ।

নদীর ক্ষয়ের ফলে ল্যাটেরাইটে তৈরি হওয়া অদ্ভুত সুন্দর প্রাকৃতিক ল্যান্ডস্কেপ দেখতে দূরদূরান্ত থেকে লোকজন আসে গনগনিতে। সূর্যোদয় আর সূর্যাস্তের সময় গনগনির রূপ সবচেয়ে সুন্দর। ফটোগ্রাফির আদর্শ পরিবেশ। আকাশ রয়্যাল ব্লু, গিরিখাতে হরেক শেডের লাল, তার ওপর সবুজ ঘাসের জাজিম, শিলাবতীর গেরুয়া জল আর হলুদ বালুতট - দু’পারে সবুজের ঘেরাটোপ। রং-এর অদ্ভুত বাহার এখানে।
গনগনির মিনি গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন৷ দুর্দান্ত সৌন্দর্য নিয়ে গনগনি যেন বলছে—কল্পলোকের নয় আমি মর্ত্যের সুন্দরী৷

লাল মাটির ঢেউ খেলানো প্রান্তর, কাজুবাদাম গাছের সারি৷ মাঝে মধ্যে শাল পিয়ালের জটলা। উঁচু টিলা থেকে নদীতে নামার জন্য সিঁড়ি রয়েছে। পর্যটকদের জিরোনোর জন্য রয়েছে গোটাকয়েক ছাউনির ব্যবস্থাও।

コメント

コメントを取得中...

コントロール
設定

使用したサーバー: directk