Rj's Studio
チャンネル登録者数 216人
49 回視聴 ・ 12いいね ・ 2022/04/03
উদয়ন পণ্ডিত আর গুপি-বাঘার দেখা! সত্যজিতের স্মৃতিবিজড়িত এই পাহাড়ে ঘুরে আসুন দু’দিনের ছুটিতে
আট থেকে আশির বাঙালি দর্শক, সত্যজিৎ রায় পরিচালিত হীরক রাজার দেশে (Hirak Rajar Deshe) দেখেননি, এবং ভালবাসেনি-এমন বোধহয় কেউই নেই। সেই ছবিতে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে গিয়ে রুক্ষ পাহাড়ের ভিতর একটি গুহার ভিতর লুকিয়েছিলেন উদয়ন পণ্ডিত। সেখানেই গুপি-বাঘার সঙ্গে তাঁর মোলাকাত। অনেকেই হয়তো জানেন না, সেই পাহাড় আসলে পুরুলিয়া জেলার রঘুনাথপুরের জয়চণ্ডী পাহাড় (Joychandi Pahar)। হাতে দিনদুয়েকের ছুটি থাকলে ছোটনাগপুর পাহাড়ের অংশ জয়চণ্ডী পাহাড় থেকে টুক করে ঘুরে আসা যেতেই পারে।
জয়চণ্ডী পাহাড়ের উচ্চতা ৮০০ ফুট (travel guide to Joychandi Pahar)। পাহাড় বললেও মূলত পাথুরে রুক্ষ জমিতে অবস্থিত টিলাবিশেষ। পাশেই রয়েছে আরও দুটি পাহাড়-দক্ষিণাকালী পাহাড় ও যুগঢাল। যদিও ৩টির মধ্যে একমাত্র জয়চণ্ডীতেই উপরে ওঠার রাস্তা রয়েছে। বাকি দুটি পাহাড়ে রক ক্লাইম্বিং করা হয়। পাহাড়ের উপরেই রয়েছে জয়চণ্ডী দেবীর মন্দির। ৫২০ সিঁড়ি ভেঙে সেই পাহাড়ে উঠতে হলেও একবার চূড়া থেকে চারপাশে তাকিয়ে দেখলে প্রকৃতির যে শোভা চোখে ধরা পড়বে, তাতেই উপরে ওঠার কষ্ট ভুলে যাবেন যে কেউ।
পাহাড়ের উপরেই রয়েছে একটি সুপ্রাচীন ওয়াচ টাওয়ারের ধ্বংসাবাশেষ। শোনা যায়, সেই ওয়াচ টাওয়ার থেকে চারপাশে নজর রাখতেন কাশিপুরের রাজার সেনারা। কথিত আছে, বহু বছর আগে জয়চণ্ডী পাহাড়ের গুহায় আশ্রয় নিত দুর্ধর্ষ ডাকাতদল। পুজো দিয়ে সেখান থেকেই ডাকাতিতে যেত তারা।

পাহাড়ের পাদদেশেই রয়েছে নন্দুয়ারা নামে একটি আদিবাসী গ্রাম। জয়চণ্ডী পাহাড়ের উপর থেকে চারপাশে তাকালে সেই গ্রামের প্রায় পুরোটাই দেখা যায় বার্ডস আই ভিউ থেকে। সেখান থেকে পাহাড়ের ঢালে সূর্যাস্তের দৃশ্য একবার দেখলে তা আজীবন মনে রয়ে যাবে। ধাপ চাষের দৃশ্য দেখলেও মন ভরে যাবে। এছাড়া ৩৬০ ডিগ্রি ভিউ থেকে চোখে পড়বে কাশিপুর রাজবাড়ির নজর ঘাঁটি।
জয়চণ্ডী পাহাড়ে যাওয়ার সেরা সময় নভেম্বর থেকে মার্চ মাস। বসন্তকালে আগুনরঙা পলাশ আর লাল শিমুলে রঙিন হয়ে থাকে পাহাড়। ফেব্রুয়ারিতে মেলা বসে পাহাড়ের পাদদেশে। মূলত সেই সময়েই পর্যটকরা সেখানে যান। আবহাওয়াও এই সময় সবচেয়ে মনোরম থাকে। এখন থেকে বড়ন্তিও খুব কাছে। আগের দিন জয়চণ্ডী পাহাড়ে ঘুরে পরেরদিন সেখানেও যাওয়া যেতে পারে। এছাড়া পাহাড়ের আশেপাশে অনেক ছোট বড় বাঁধ রয়েছে। ঘুরে দেখা যেতে পারে সেগুলিও।
কীভাবে যাবেন?
পুরুলিয়াগামী ট্রেনে আদ্রা কিংবা জয়চণ্ডী যে কোনও স্টেশনে নেমে সেখান থেকে টোটোয় যাওয়া যায় জয়চণ্ডী পাহাড়। হাওড়া থেকে আরণ্যক, রূপসী বাংলা, পুরুলিয়া এক্সপ্রেস, চক্রধরপুর এক্সপ্রেসে যাওয়া যায় সেখানে। কলকাতা থেকে মাত্র ৫ ঘণ্টায় পৌঁছে যাওয়া যায়।
কোথায় থাকবেন?
জয়চণ্ডী পাহাড়ের কাছেই আছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ইয়ুথ হোস্টেল। কলকাতা থেকে বুকিং করে গেলে সহজে ঘর পাওয়া যায়। এছাড়াও ওই এলাকায় বর্তমানে বেশ কিছু কটেজ তৈরি হয়েছে। পাহাড় থেকে আদ্রা শহরের দূরত্ব মাত্র ৪ কিলোমিটার। সেখানেও অনেক হোটেল রয়েছে থাকার জন্য।
Saheb Bandh is a 50 acre lake in Purulia, that is known to have been constructed in the mid 19th century. It is said this water body was dug by convicts, at the instigation of Colonel Tikley, during the British Raj. This process was started in the year 1843 and took five years for it to be completed.
The lake has a good view and is maintained well. It also has a garden/ park for visitors. However it is under renovation at this time. It also has the boating in Sikara in the evening at a reasonable rate. Overall a good sight seeing place.
Saheb Bandh is situated in middle of the town. Its a great place to relax. Good place for photography also. Wonderful view at evening time.
コメント
再生方法の変更
動画のデフォルトの再生方法を設定できます。埋め込みで見れるなら埋め込みで見た方が良いですよ。
現在の再生方法: nocookie
コメントを取得中...